মৃত্যুর পরোয়ানা
-সত্যদেব পতি
ঘুমন্ত পৃথিবীর আলো আঁধারী খেলায় শিয়রে বাজে মৃত্যু ঘন্টা,
মনের মন্দিরে হাজার কাঁসরের রনরনি…
বিশাল আনন জুড়ে এ কার পদধ্বনি?
নটরাজ বেশী প্রেম করে প্রলয় নাচন,
কালো আকাশে সুদুর নিহারীকার উল্কাপাত—
স্নিগ্ধ শান্ত চাঁদের আলো যেন সন্ধ্যার জোনাকি,
নির্ঘুম চোখে আমি অপলকে দেখছি প্রকৃতির রূপের বৈচিত্র,
তোমার মুখের সাদৃশ্যময় খন্ড মেঘ এসে চুপিসারে বললো সেও জেগে আছে,
দুরের নক্ষত্র মালায় দীপাবলীর সাজ…
আজকে তোমার মুখে হাসি নেই,
কি ভাবছো প্রিয়া?
তুমি কি এমনি করে সারারাত ঐ নির্ঘুম আকাশ দেখছো?
সেখানে কি আছে আমার আষাঢ়ি় মেঘ মুখটা?
তোমার আকাশে কি ধ্বনিত হচ্ছে মেঘ মল্লার বা মেঘ রাগ?
আমি দেখছি আমার শারদ শশীতে গ্রহণের পূর্ব গ্রাস ছবি…
ভয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আসে সেখানেও তুমি,
তোমার চোখে মহাসাগরীয় জলোচ্ছাস–
সেই প্লাবনে ভিজে যায় দেহ মন,
প্লাবন ভুমিতে জন্ম নেয় কিশলয়-
সবুজের গালিচা বিছানো তটে আমি তোমার প্রতিক্ষার প্রহর গুনছি,
সকালের সূর্য্যদয়ের সোনালী আভাতে স্পষ্ট হলো ম্রিয়মান মূখ,
তোমাকে তো এভাবে দেখতে চাই নি…
তোমার ঐরূপ দেখে মনে হলো এতো নাপাওয়ার প্রতিমুর্তি,
সারারাতের চাওয়া পাওয়ার স্বপ্নগুলো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো,
বাঁচার ইচ্ছেগুলো সব একসাথে ছুটি নিল,
আমি কি আমার ভালোবাসার অপমান করলাম?
যদি না করি তাহলে কেন মনে হলো?
হঠাৎ করে কেন সেই ভালোবাসার ঘরে অবিশ্বাসের গন্ধ?
মনের বাগানের ফুলরেণুতে নতুন অলির পায়ের ছাপ?
বিশ্বাস করে না মন,শুধু ডুকরে কেঁদে বলে হে ঈশ্বর এবার হয়তো সময় এসেছে…
পাঠিয়ে দাও তোমার হাতে লেখা মৃত্যুর পরোয়ানা…